কালের স্বাক্ষ্য বহনকারী ভৈরব নদীর তীরে গড়ে ওঠা হয়রত পীর খাজা খান জাহান আলী (রঃ) স্মৃতি বিজড়িত বাগেরহাট জেলার অন্তর্গত মোরেলগঞ্জ উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল হলো বহরবুনিয়া ইউনিয়ন। কাল পরিক্রমায় আজ বহরবুনিয়া ইউনিয়ন শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, খেলাধুলাসহ বিভিন্নক্ষেত্রে তার নিজস্ব স্বকীয়তায় সমুজ্জ্বল। মহান মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময়ে এই ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করে দেশ মাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে ঝাপিয়ে পরে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভুমিকা রেখেছিল। প্রায় তের কিলোমিটার নদীর সীমানা ঘেরা ইউনিয়নের সাধারন নাগরিক গণ পুনরায় জীবন যু্দ্ধকরে মানবেতর জীবন যাপন করে বেঁচে আছেন। সাধারন জোয়ার সহ বিভিন্ন সময়ের জলোচ্ছাসে পানিতে তলিয়ে যায়। টেকসই ভেড়ীবাদ না থাকার কারনে পানিতে ভাসায়ে নিয়ে যায় চিংড়ী ঘের। মৎস্য প্রকল্পে বিনিয়োগ কৃত মূলধন হারিয়ে মানুষ ক্রমান্বয়ে দরিদ্র থেকে দরিদ্র হচ্ছে। এই অঞ্চলের সাধারন মানুষ শুধুমাত্র মৎস্য চাষের উপর নির্ভরশীল ।লবনাক্তার কারনে ধান চাষ মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অদ্যাবধী পর্যন্ত কোন টেকসই পাকা রাস্তা নাই। শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা , অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা সেবা, কৃষকের কৃষি পন্য বাজারজাত করা, বিভিন্ন পেশাজীবিদের উন্নয়নের অন্তরায় হচ্ছে ভঙ্গুর যোগাযোগ ব্যবস্থা । টেকসই ভেড়ী বাধ নির্মান নাহলে বাস্তচ্যুত হবে নিন্ম আয়ের মানুষেরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধী গণের আর্থীক সীমাবদ্ধতা থাকার পরেও নিজস্ব অর্থায়নে প্রায়ই সংস্কার করে কোনক্রমে চলাচলের উপযোগী রাখছেন নীজ নীজ সীমানার আভ্যণ্তরীন যোগাযোগ ব্যবস্থা ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস